ঢাকার নিজ বাসভবনে আততায়ীর হাতে সপরিবারে খুন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ডেভিস বোস্টার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করেন। আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনায় যেসব বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন সেগুলো কিভাবে অতিক্রম করা যায় তার পরিকল্পনা ডেভিস বোস্টারের সাথে বিশদ আলোচনা করেন।
আমরা এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ধর্ম , রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে অস্থিরতা কাজ করছে। পুস্তকেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নীতি, নৈতিকতা এবং কর্ম দক্ষতা। ধর্মের নাম বিজ্ঞান ও যুক্তি এবং জীবন ভুলে যাচ্ছি। ধর্মের লেবাসে নীতি-নৈতিকতাহীনরা ইজারা নিয়েছে নৈতিকতার । অদক্ষ এবং নিস্কর্মরা দক্ষতার সনদ দিচ্ছে। আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি মুখে -মুখে , অন্তর থেকে অন্তরে নয়। দেশ প্রেমকে রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রণ করে। আধুনিকতার অজুহাতে হারিয়ে যাচ্ছে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যেবোধ এবং মর্যাদা।
মীটিংটা শুরু হওয়ার কথা সন্ধ্যা ছ'টায়। পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই মীটিং শুরুর আধঘণ্টা আগেই যে যার নির্দিষ্ট আসনে বসে গেছেন। সাধারণত, যে কোন মীটিংএ এই চারজন মিটিংয়ের দশ পনর মিনিট আগে হাজির হন। আজ একটু বেশী আগেই এসে গেছেন তারা। তার একটা বিশেষ কারনও আছে - আজ সেই বিশেষ দিন। যেই দিনটির জন্য প্রায় ত্রিশ বছর ধরে স্বপ্ন দেখে আসছেন তারা, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য গত পনর বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন, আজ রাত ঠিক বারোটায় সেই বিশেষ ঘটনাটি ঘটবে, অথবা আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যায়, ঘটতে শুরু করবে। হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা কিছু ধর্মীয় মিথের সেই মহাপ্রলয় বা শেষ বিচারের দিন কিংবা কেয়ামতের মতো সর
১৯৫৪ তে যুবলীগ আর ছাত্রদলের চাপে পূর্ব-পাকিস্তানে ফজলুল হক, সুরাবর্দী আর মৌলানা ভাসানী এক হয়ে ২১ দফার দাবীতে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে পূর্ব-পাকিস্তানের বিধানসভা নির্বাচনে নামল । বিধানসভায় মুসলিম আসন ছিল ২৩৮ টা , যার মধ্যে যুক্তফ্রন্ট জিতে নিল ২২৭ টা আসন । মুসলিম লীগ পেল মাত্র ১০ টা আসন আর খিলাফত ১ টা । বাঙালি মুসলিম মানসে পাকিস্তানের ক্ষমতা পাঞ্জাবিদের হাতে কুক্ষিগত করার ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটলো নির্বাচনে, সাথে তো ছিলই ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলন । পূর্ব-পাকিস্তানের হিন্দুরা নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টকে সমর্থন করেছিল । নির্বাচনে সিডিউল কাস্ট ফেডারেশনের রাজ কুমার মন্ডল আর হরবিলাশ বসুর জমানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল । ফ
শীতের শেষদিকে শ্যালকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শশুরবাড়ি গেছিলাম। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ঘুমও ভেঙ্গে গেল। ব্লাডারের চাপ। টয়লেট মূলবাড়ির উঠান পেরিয়ে আরেক কোনে। উঠানে নেমে সদর দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি, একি! সদর দরজা হাট করে খোলা! এরকমতো হওয়ার কথা না! দরজার বাইরে তাকিকে দেখি আরেক আশ্চর্য জিনিষ। সিকিউরিটি চেক করার লাল বাতি জ্বালানো লাঠিগুলির মত, হালকা নীল একটা লাঠি জ্বলতেছে, আবার নাড়াচাড়াও করতেছে। বিষয় কি! কে ওখানে? দরজার দিকে এগুতেই দেখি সেই লাঠি নাড়াচাড়া করতেছে এক আলখাল্লাধারী বৃদ্ধ। সে আমাকে সেই জ্বলন্ত লাঠি নাড়ায়ে কাছে ডাকল। আমি এগিয়ে গেলাম।